বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে আজ শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর আগামীকাল শনিবার (২৫ মে) দুপুর নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আজ শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে আবহাওয়ার দুই নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের উপকূলে আগামী রবিবার (২৬ মে) আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। রেমাল লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পরে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের রূপে রবিবার বাংলাদেশের সুন্দরবন ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি শুক্রবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।